Winning entries could not be determined in this language pair.There was 1 entry submitted in this pair during the submission phase. Not enough entries were submitted for this pair to advance to the finals round, and it was therefore not possible to determine a winner.Competition in this pair is now closed. |
রোবোকপ/সান্তিয়াগো নেগ্রো রোবোকপ'কে (পল ভেরহোবেন, ১৯৮৭) একটা যথার্থ জনপ্রিয় ছবি হিসেবেই গণ্য করা হয়। যদিও গোড়ার দিকে কেউই এডওয়ার্ড নেউমায়ার আর মাইকেল মাইনার এর লেখা চিত্রনাট্যকে কোনো গুরুত্বই দেয়নি। চিত্রনাট্য একের পর এক বিভিন্ন প্রযোজকদের হাতে পৌঁছেও কোনো পাত্তা পায় নি। কেউই এই আপাতদৃষ্টিতে অদ্ভুত গল্পে কোনো উৎকর্ষ খুঁজে পায় নি, বুঝতে পারে নি যে আসলে ছবির মধ্যে প্রতাপশালী রেগান প্রশাসনের উদারনীতিবাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি চোখা চোখা সমালোচনা লুকিয়ে আছে। অবশেষে, বিতর্কের আরেক অনুরাগী এই তীক্ষ্ণ গল্পকে সিনেমার পর্দায় নিয়ে যায় ১৯৮৭ এ। পল ভেরহোবেন ছবি বানালেন, তাতে রগরগে হিংস্রতা স্পষ্ট ফুটে উঠল। ছবিটা দর্শকের মুখের সামনে একটা আয়না তুলে ধরল, তাতে প্রতিফলিত হল বিবেকবিহীন শাসনকর্তাদের হাতে অবক্ষয়ী সমাজের প্রতিচ্ছবি। বলা বাহুল্য যে ভোরের পথিক ব্যাটম্যান/দ ডার্ক নাইট রিটার্নস আর রোবোকপের মধ্যে কোনো তুলনাই হয় না, তবুও, দুটো ছবিরই দুনিয়ার মধ্যে যা মিল আছে, সেগুলো বেশ স্পষ্ট। তিক্ত হাস্যরস, অদূরেই এগিয়ে আসবে এমন এক হিংস্র শহুরে ভবিষ্যত, বিপরীতধর্মী গোষ্ঠীর মধ্যে দলাদলি, এবং মিডিয়া আর বিজ্ঞাপনের এক উন্মত্ত দাপাদাপি, এগুলো সবই চিত্রনাট্যের মূলধন, তাই এতে কোনো সন্দেহ নেই যে যে মিলার-এর গল্পের ছক নেউমায়ার আর মাইনার-এর মজ্জায় মজ্জায় মিশে আছে। রোবোকপের সাফল্যই পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত রোবোকপ দ্বিতীয়'র নিমিত্ত এবং সেই ছবির প্রযোজকরা মূল ছকে ফিরে গেলেন, যায় ভিত্তিতে প্রথম ছবির গোড়াপত্তন হয়েছিল, এবং ফ্রাঙ্ক মিলারকে রোবোকপ দ্বিতীয়'র (ইরবিন কের্ষনর, ১৯৯০) চিত্রনাট্য লিখতে নিযুক্ত করলেন। সাইবার পাঙ্ক এর জগত এবং তার বিপক্ষে সমালোচনার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে সে মিলার, এবং এই সিনেমার ফ্রাঞ্চাইস মিলারের দর্শককে তাক লাগিয়ে দেবার সমস্ত দক্ষতার পুরোপুরি লাভ ওঠাতে চাইল। অবিলম্বেই গোলমাল শুরু হল। নির্দেশক ভেরহোবেন বাদ পড়লেন, যদিও অনুরাগীরা ইরবিন কের্ষনরকে (এম্পায়র স্ট্রাইকস ব্যাক), রোবোকপ দ্বিতীয়'র নির্দেশক হিসেবে সাদরে গ্রহণ করলেন। মিলারের লেখা চিত্রনাট্য পড়ে কের্ষনর এবং প্রযোজকরা মনে করলেন যে এই চিত্রনাট্য সিনেমার পর্দায় তুলে ধরা অসম্ভব। তাই ওয়ালোন গ্রীন আবার থেকে চিত্রনাট্য লিখলেন, মিলারের সব কল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে। মুক্তি পেয়েই ছবিটা বক্স অফিসে মার খেল, ভাগ্যিস ভিডিও ক্রেতারা ছিল, তাদেরই দৌলতে বাণিজ্যিক লাভ হল, এতটাই যে প্রযোজকরা আবার উৎসাহ নিয়ে আরেকটা সিকুয়েল বানাল। | Entry #36668 — Discuss 0 — Variant: Indian
|